ঢাকা, সোমবার ২৫, নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৪৩:৪৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৩ ডিগ্রিতে ব্রাজিলে বাস খাদে পড়ে ২৩ জনের প্রাণহানী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৮, লেবাননে ৩৩ প্রাণহানী

বইমেলা প্রাঙ্গণে কঠোর নজরদারি 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৪১ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দিনটি ছিল ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। বইমেলা জমজমাট হয়ে উঠেছে। স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার সঙ্গে বইমেলায় গিয়েছিলেন ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়। সন্ধ্যার পর বইমেলা থেকে বেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট পার হতেই হঠাৎ পেছন থেকে হামলার শিকার হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন এ প্রকৌশলী, ব্লগার ও লেখক। হামলার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেই রাতেই মারা যান তিনি। মারাত্মক জখম হন স্ত্রী বন্যাও।

শুধু অভিজিৎ রায়ই নন, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ড. হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই বছরের ১২ আগস্ট জার্মানিতে তার মৃত্যু হয়।

পাঠক, লেখক, প্রকাশকে বইমেলা হয়ে ওঠে বইপ্রেমীদের মিলনমেলা। শুধু দেশের নানা প্রান্ত নয়, ভিনদেশ থেকেও প্রাণের মেলায় বইয়ের টানে চলে আসেন অনেকে। আর সেই প্রাণের মেলায়ও ঘটে এমন নারকীয় হত্যাকাণ্ড, যৌন হয়রানি, চুরিসহ নানা ঘটনা। তবে অতীতের এসব ঘটনাকে সামনে নিয়ে বইমেলা ঘিরে এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর থাকে নানা কর্মযজ্ঞ।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে রয়েছে কঠোর নজরদারি। বাংলা একাডেমিতে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে চারটি প্রবেশপথে তল্লাশি, মূল মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর, মেলা প্রাঙ্গণসহ আশপাশ এলাকাকে তিন শতাধিক সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।

পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা সদস্যের পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গণে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহলসহ সিটিটিসি, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, সিটি এসবি ও ডগ স্কোয়াড সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। মেলাজুড়ে প্রতিদিন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

মেলায় আগত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে আসা ব্যাগ কিংবা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রবেশ পথেই তল্লাশি করছেন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। ভেতরেও রয়েছে নজরদারি। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে লেখক, প্রকাশক ও পাঠকদের।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। সেই সঙ্গে আছে পুলিশের তল্লাশি চৌকি। দোয়েল চত্বর গেটে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তা সেলিম হোসেন জানান, মেলায় অনুমোদন ছাড়া কোনো গাড়ি আমরা ঢুকতে দিচ্ছি না। সন্দেহজনক কিছু দেখলে বা মনে হলে তাদের চেক করি। তারপর মেলার মূল গেটে তল্লাশি চলে।

প্রকাশকদেরও এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয় মেলাকে কেন্দ্র করে। নানা ধরনের বই প্রকাশের ফলে এই শঙ্কাটা তৈরি হয় বইমেলায় আগত প্রকাশকদের। তবে এবার এ ধরনের কোনো শঙ্কা কাজ করছে না বলে জানান তারা।
রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা শুরু হয়েছে, গত ৯ দিনে অত্যন্ত সুন্দরভাবে খুবই সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে। যারা মেলায় এসেছেন তারা সবাই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা প্রথমেই যেটা নির্ধারণ করেছিলাম সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থাই আছে। এটাই থাকবে। এখন পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি পাইনি।